অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনের কাছে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে খোলা চিঠি দেবে বাংলাদেশের একদল পরিবেশ আন্দোলনকারী।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী ১৮ই অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কাছে তুলে দেয়া হবে।
তিনি জানান, ”এই প্রকল্পের প্রধান অংশীদার ভারত সেকারণে ভারতের সরকারকে লক্ষ্য করে কর্মসূচি নেয়া আমরা জরুরি মনে করছি।”
এই কমিটি মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও খোলা চিঠি দিয়েছিল।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই রামপাল প্রকল্পের বিরোধীরা বলছে কয়লা-ভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
কিন্তু এই বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে সরকার বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপক্ষে গত প্রায় দু’বছর যাবত বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন আন্দোলন করছে।
সম্প্রতি দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিও এই প্রকল্পের বিপক্ষে অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছে।
গত ২৪শে অগাস্ট ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রামপালের এই প্রকল্পটিকে বাতিল করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
বৃহপতিবার সংবাদ সম্মেলনে আনু মোহাম্মদ সম্প্রতি ইউনেস্কোর প্রতিবেদন পাওয়ার পরও কেন রামপাল প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
”ইউনেস্কোর সর্বশেষ রিপোর্টের তাগিদ থেকে পরিষ্কার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে যে সরকার যদি আগের মতোই এসব গুরুতর বিষয় উপেক্ষা করে এবং এই প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হয়, তাহলে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে।”
”কাজেই সরকারের উচিত হবে একগুঁয়েমি ত্যাগ করে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, বিশেষজ্ঞ মত ও ক্রমবর্ধমান জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে রামপাল চুক্তি বাতিলসহ সুন্দরবনবিনাশী, বনগ্রাসী সব তৎপরতা বন্ধ করা।”